Wednesday, April 9, 2014
বাংলাদেশের ফসল/শস্য
বাংলাদেশের ফসল/শস্য সূচনাঃ বাংলাদেশ ফুল, ফল এবং ফসলের দেশ। সারা বছরব্যাপি এদেশের জনগণ তাদের জমিতে বিচিত্র ফসল ফলিয়ে থাকে। ধান, গম, মরিচ, ডাল, সরিষা, পেঁয়াজ, রসুন, হলুদ, বিচিত্রফল, পাট, চা, তুলা, তামাক, বাঁশ, ইক্ষু, রাবার ইত্যাদি হলো গুরুত্বপূর্ণ। ফসলের শ্রেণী বিভাগঃ ধান, গম, ডাল, মরিচ, সরিষা, পেঁয়াজ, রসুন, হলুদ ইত্যাদি হলো খাদ্য শস্য এবং পাট, চা, তামাক,তুলা, বাঁশ, রাবার ইত্যাদি হলো অর্থকরী ফসল বা শস্য। খাদ্য শস্য খাওয়া হয় এবং অর্থকরী ফসল যোগান দেয়। খাদ্য শস্যঃ সকল খাদ্য শস্যের মধ্যে ধান হলো আসল। বাংলাদেশীদের প্রধান খাদ্য হলো ধান। ধান চার ধরণের যেমন-আমন, আউস, বোরো এবং ইরি। ধান বাংলাদেশের সর্বত্রই জন্মে থাকে। আজকাল প্রচুর গম উৎপাদন করা হয়। এগুলো ছাড়া, মরিচ, বালি, যোয়ার এবং বাজরাও আমাদের দেশে উৎপন্ন হয়। অর্থকরী ফসলঃ অর্থকরী ফসলের মধ্যে পাট, চা, তুলা, রাবার, এবং তৈল বীজই হলো গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ পৃথিবীর ৮৫% পাট উৎপাদন করে থাকে। পাট এদেশের জেলাতেই জন্মে । এর পরে গুরুত্ব ফসল হলো চা। চা সিলেট ও চট্রগ্রামের পাহাড়ী অঞ্চলে উৎপন্ন হয়। তুলা , রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ এবং পার্বত্য চট্রগ্রামের পাহাড়ী অঞ্চলে উৎপন্ন হয়। এগুলো আমাদের নিজেদের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানী করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। ফসলাদিঃ বিভিন্ন রকমের ফল-আম, আনারস,কাঁঠাল, কমলা, কলা এবং নারিকেল আমাদের দেশে উৎপন্ন হয়। কলা আর নারিকেল সারা বছর ধরে আমরা পেয়ে থাকি। ফসলের অর্থনৈতিক মূল্যঃ আমাদের দেশের অর্থনীতি ফসলের উপর নির্ভরশীল। আমাদের দেশে অধিক ফসল উৎপাদন করতে হবে যাতে দেশের আভ্যান্তরীণ চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করে অর্থ আয় হয়। বেশি করে পাটকল, তুলাকল, চা - কারখানা, তামাক - কারখানা এবং চামড়া কারখানা স্থাপন করা যেতে পারে যাতে দেশে উৎপাদিত দ্রব্য বিদেশে রপ্তানি করা যেতে পারে। উপসংহারঃ বাংলাদেশ ফসল বা শস্যের দেশ। আমাদেরকে অধিক পরিমাণ শস্য উৎপাদন করতে হবে যাতে আমরা এদেশকে পৃথিবীতে ধনী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি।
Labels:
বাংলা রচনা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment